ঢাকার ৩১ হাসপাতালের তথ্য: আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন

 

ডান চোখে ছররা গুলি লেগেছে বরিশালের নথুল্লাবাদের বাসিন্দা রাকিবুল আহসানের। গত মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে


সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে মোট ৬ হাজার ৭০৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা ৩১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ১৬ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে হাসপাতালে এসেছেন।


চিকিৎসা এবং আহতদের সংখ্যা

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ ইটপাটকেল ও লাঠি বা রডের আঘাতে আহত হয়েছেন, আবার কেউ ছররা গুলি, রাবার বুলেট বা বুলেটবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের কারণেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।


আহত ব্যক্তিরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তরা, বাড্ডা-রামপুরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর-বছিলা, ধানমন্ডি এলাকায় বেশি সংঘর্ষ হয়েছে। 


২২টি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২ হাজার ৫৯৩ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আহত মানুষ এসেছিলেন রামপুরার ফরাজী হাসপাতালে। 


সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান বা পঙ্গু হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি আহত মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। এখানে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২৬৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে গুলিবিদ্ধ ছিলেন ২৩১ জন।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জুলাই বিকেলে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে, সেখানে মোট ১ হাজার ৭১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। 


সরকারি নয়টি হাসপাতালে ৪ হাজার ১১০ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। 


চোখে আঘাত

পুলিশ ছররা গুলি ব্যবহার করার কারণে অনেকের চোখে আঘাত লেগেছে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৪২৪ জন, ঢাকা মেডিকেলে ৪১ জন এবং লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে ১৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। মোট ৬১৫ জন চোখে আঘাত পেয়েছেন এবং তাদের অনেকেরই অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।

Argitaratu iruzkina

0 Iruzkinak