গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা, ২৭ জুলাই
ডিএমপির তথ্য (সোমবার পর্যন্ত)
২৪৩ মামলায় গ্রেপ্তার ২,৬৩০।
২,২৮৪ জনের রাজনৈতিক পরিচয় নেই।
বিএনপির নেতা-কর্মী ২৬৯ জন।
জামায়াত ও শিবিরের ৭৩ জন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয় এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রতিদিনই অসংখ্য স্বজন তাঁদের নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ভিড় করছেন। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটছে, যেখানে অনেক সাধারণ মানুষও আটক হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেছেন যে তারা নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করছেন না এবং শুধু সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই আটক করা হচ্ছে। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা; দিনমজুর, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ অনেক সাধারণ মানুষও আটক হচ্ছেন।
এর মধ্যে উবার মোটরসাইকেল চালক মোহাম্মদ হাসান, আইইউবিএটির ছাত্র আল-আমিন এবং কাঁটাবনের মাদ্রাসার শিক্ষক মোবাশ্বের আহমেদসহ আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের পরিবার-পরিজনেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আবেদন করছেন তাদের স্বজনদের খুঁজে পাওয়ার জন্য।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে রাজধানীতে ২ হাজার ৮৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যা সংকটময় পরিস্থিতিতে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নির্বিচারে আটক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
0 Iruzkinak