কক্সবাজারে আট দিনে পর্যটন খাতে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতির খবরটি হতাশাজনক।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সংঘাত এবং কারফিউর কারণে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের প্রভাবে কক্সবাজারে পর্যটক শূন্যতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে পর্যটননির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যেও ধস নেমেছে।


কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরীর মতে, এই আট দিনে পর্যটন খাতে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল খালি পড়ে রয়েছে এবং তিন হাজারের বেশি দোকান ও পাঁচ শতাধিক রেস্তোরাঁয় বিক্রি নেই। সমুদ্রসৈকতের আশপাশের ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটও বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া, মৎস্য, লবণ, শুঁটকি, শামুক-ঝিনুক, পান-সুপারি, গণপরিবহনসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ও ধস নেমেছে।


ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, এখন শহরে কোনো পর্যটক নেই। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস-রিসোর্ট ও কটেজ আট দিন ধরে খালি পড়ে আছে। তিন শতাধিক রেস্তোরাঁও বন্ধ। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর হিসাব করলেও দৈনিক গড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি হোটেলকক্ষ ভাড়ার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।


কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ জানিয়েছেন, অন্তত ২০ হাজার কর্মচারীর বেকার সময় কাটছে এবং মালিকেরা কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও পরিশোধ করতে পারছেন না।


এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন। পর্যটক আকর্ষণের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রমোশনাল কার্যক্রম গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Argitaratu iruzkina

0 Iruzkinak