বেনজীর ও মতিউর পরিবারের সম্পদ বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ

 দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্প্রতি বেনজীর আহমেদ ও মতিউর রহমানের পরিবারের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে। এই নোটিশে তাদের নিজস্ব ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সম্পত্তির বিবরণী, আয়কর বিবরণী, ব্যাংক হিসাব এবং অন্যান্য সম্পত্তির তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।


দুদক সাধারণত দুর্নীতির অভিযোগ বা অসঙ্গতির ভিত্তিতে সম্পদের বিবরণী চেয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায়, তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়ের সাথে সম্পদের মিল আছে কিনা তা যাচাই করে থাকে। যদি কোন অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তবে আরও গভীর তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।


আপনি কি আরও বিস্তারিত তথ্য বা বিশেষ কোনো দিক নিয়ে জানতে চান?


পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে দেওয়া সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোটিশ জারি করেছে। এই তথ্য মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। 


তিনি জানান, এই নোটিশের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছে যে, জব্দ হওয়া সম্পদের বাইরে এই দুই পরিবারের সদস্যদের আর কোনো সম্পদ আছে কি না। 


 বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবার

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা, বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং মেজ মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের নামে ও বেনামে দেশে-বিদেশে আরও সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। 


তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার। দুদক এখন পর্যন্ত তাদের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) খুঁজে পেয়েছে। আদালতের আদেশে এই সম্পদগুলো জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। বেনজীর আহমেদ ৪ মে সপরিবার দেশ ছেড়েছেন।


 মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবার

মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম পক্ষের সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান (অর্ণব) ও ফারজানা রহমান (ঈপ্সিতা) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার (শিবলী) এর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছে। 


মতিউর ও তাঁর স্বজনদের নামে অন্তত ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, যশোর ও নাটোরে মোট ৮৪৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমি রয়েছে এবং ঢাকায় চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর বিবরণীতে লায়লা কানিজ তাঁর মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ১০ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা।


মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব ও শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ২৪ জুন মতিউর ও তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

Argitaratu iruzkina

0 Iruzkinak