নাগ অশ্বিন পরিচালিত ছবিটির নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল ‘প্রজেক্ট কে’। পরে ছবিটির নাম পরিবর্তন করে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ রাখা হয়। কল্পবিজ্ঞান ঘরানার এই ছবিটি বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করবে বলে আশা করছেন নির্মাতারা।
‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবির জন্য অভিনেতাদের পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনা বেশ চলছে। বলিপাড়া সূত্রে জানা যায়, এই ছবির জন্য সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন দক্ষিণী তারকা প্রভাস। নির্মাণ খরচের একটি বড় অংশই তার পারিশ্রমিক হিসেবে ব্যয় হয়েছে। প্রভাসের পারিশ্রমিক প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ কোটি রুপি পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
দীপিকা পাড়ুকোন, যিনি এই ছবিতে মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তার পারিশ্রমিক প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি রুপি হতে পারে। অমিতাভ বচ্চনও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং তার পারিশ্রমিক প্রায় ১০ থেকে ১৫ কোটি রুপি হতে পারে। দিশা পটানি এবং কমল হাসানের পারিশ্রমিক যথাক্রমে ৫ থেকে ১০ কোটি এবং ২০ থেকে ৩০ কোটি রুপি হতে পারে।
এই পারিশ্রমিকের পরিসংখ্যানগুলি আনুমানিক এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হয়েছে। বাস্তব পারিশ্রমিক কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।
হ্যাঁ, 'কল্কি ২৮৯৮ এডি' ছবির জন্য প্রভাস ১৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে, যা পুরো ছবির মোট বাজেটের এক-চতুর্থাংশ। এই ছবি নির্মাণে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
এর আগে প্রভাস ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, যার বাজেট ছিল ৭০০ কোটি টাকা। সেই ছবির জন্য প্রভাসের পারিশ্রমিক ছিল ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা। যদিও ‘আদিপুরুষ’ বক্স অফিসে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।
প্রভাসের মতো উচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেও, ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবির বক্স অফিস সাফল্য তার পারিশ্রমিকের যৌক্তিকতা প্রমাণ করবে।
দীপিকা পাড়ুকোন ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন বলে জানা গেছে। ‘ফাইটার’ ছবিতে হৃতিক রোশনের সঙ্গে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৫ কোটি টাকা আয় করেছিলেন। সেই হিসাবে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবিতে তার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রভাসের পারিশ্রমিক দীপিকার চেয়ে প্রায় আট গুণ বেশি, অর্থাৎ প্রভাস ১৫০ কোটি টাকা আয় করেছেন। এই পারিশ্রমিকের পরিমাণ থেকেই বোঝা যায়, প্রভাসের দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের পাশাপাশি বলিপাড়ায়ও তারকা হিসেবে অবস্থান বেশ শক্তিশালী।
0 Iruzkinak