২০২৪ কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা একটি দুর্দান্ত সূচনা করেছে। লিওনেল মেসি তার দলের জন্য গোল করিয়েছেন এবং একটি গোল মিসও করেছেন, তবে আর্জেন্টিনা ম্যাচটি জিতে নেয়। তাদের এই জয় তাদের শিরোপার লড়াইয়ে একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করবে। মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা কি এই বছরও শিরোপা জয় করতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২০২৪ কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল করেন লিওনেল মেসি। মেসি গোল করানোর পাশাপাশি আরও কিছু গোলের সুযোগ মিসও করেছেন। তবে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আর্জেন্টিনার এই জয় তাদের জন্য একটি শুভসূচনা। উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম ম্যাচে পেরুর মুখোমুখি হয়েছিল এবং সেবার প্রথম গোলটি করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপরের কয়েকটি আসরে প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও ২০১১ কোপায় প্রথম ম্যাচ খেললেও বলিভিয়া প্রথম গোলটি করেছিল। এবার, ম্যারাডোনার সেই গোলের ৩৭ বছর পর আর্জেন্টিনা আবারও কোপা আমেরিকায় প্রথম গোলের দেখা পেল।
২০২৪ কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে কানাডাকে হারিয়েছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে। প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি, ফলে বিরতিতে যায় গোলশূন্য অবস্থায়।
বিরতির পর, ম্যাচের ৪৯ মিনিটে লিওনেল মেসির থ্রো ইন থেকে বক্সের মধ্যে পাওয়া পাসটি আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক–অ্যালিস্টার কানাডার গোলকিপার ম্যাক্সিম ক্রেপিয়াওকে পাশ কাটিয়ে স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজকে পাস দেন। আলভারেজ ডান পায়ের শটে গোল করে আর্জেন্টিনার হয়ে টানা ১৩ ম্যাচের গোলখরা কাটান।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মেসির সরাসরি পাস থেকে লাওতারো মার্তিনেজ আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেন। এই ম্যাচে মেসি দুটি স্পষ্ট গোলের সুযোগ মিস করলেও তাঁর অবদান দুটি গোলেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৮৭ কোপা আমেরিকায় প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রথম গোলটি করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপর কয়েকটি আসরে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। ২০১১ কোপায় সেই সুযোগ পেলেও টুর্নামেন্টের প্রথম গোলটি করেছিল বলিভিয়া। এবার, ম্যারাডোনার সেই গোলের ৩৭ বছর পর আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকায় প্রথম গোলের দেখা পেল।প্রায় ৭১ হাজার দর্শকের সামনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা সহজেই চার থেকে পাঁচটি গোল করতে পারত। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানীয় দলের বিপক্ষে ৪৮তম স্থানে থাকা কানাডা কঠিন সময় পার করবে, তা অনুমেয় ছিল। তবে কানাডার রক্ষণভাগ ও বিশেষ করে গোলকিপার ম্যাক্সিম ক্রেপিয়াও এবং ডিফেন্ডার ডেরেক কর্নেলিয়াসের প্রশংসা করতে হয়। তারা ১৫বারের কোপা চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে অসাধারণ প্রতিরোধ গড়েছেন।
আলভারেজের গোলের পরের মিনিটেই তিনি আরেকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ক্রেপিয়াও দারুণ দক্ষতায় তার শট রুখে দেন। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা একাধিক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলেও কানাডার রক্ষণের দৃঢ় প্রতিরোধের কারণে অতিরিক্ত গোল করতে পারেনি।
0 Iruzkinak